শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মার আগের টিউনে আমি আলোচনা করেছি, কিভাবে একটি ব্লগ তৈরি করতে হয়Blogger ব্যবহার করে। তারই ধারাবাহিকতাই, আজকে আমি যেই বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তা হচ্ছে, কিভাবে একটি ব্লগ পোস্ট প্রকাশ করবেন ব্লগার নতুন ইন্টারফেস ব্যবহার করে।
প্রথমে, আপনার Blogger অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করে নিন। এরপরে, ব্লগে

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

কিংবা শীতের প্রতিটি শিশিরভেজা সকাল বা নিঃশব্দ মধ্যরাতে তোমার কোনো না কোনো স্মৃতি মনের জানালা থেকে উঁকি দিয়েই চলে।

তোমার কি মনে পড়ে, শীতের রাতে আমাদের সেই বিরামহীন কথা বলে চলার কথা? অথবা শীতের সকালে তোমার ফোন পেয়ে বিছানা ছেড়ে ওঠার তুমুল অনিচ্ছার হঠাৎই উধাও হয়ে যাওয়া? আমার কিন্তু আজও খুব মনে পড়ে। তুমি নেই, তুমি থাকবে না, তুমি আর আসবে না, অবাস্তব অথচ কঠিন বাস্তব এই সত্যগুলোকে মনের জানালায় স্থান না দিয়ে আজও শীতের গভীর রাতগুলোয় তাকিয়ে থাকি নীরব, নিস্তব্ধ রাস্তার দিকে। ভোররাতে তাকিয়ে থাকি কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকা রাস্তার দিকে। মনে পড়ে সেই সব সকালের কথা, যখন তুমি আমি হাঁটতাম আর রাজ্যের সব কথা একজন আরেকজনকে বলে চলতাম।

মনে পড়ে সেই অতিপ্রাকৃতিক মুহূর্তের কথা, যেই মুহূর্তটা প্রথম তোমার স্পর্শ উপহার দিয়েছিল আমাকে। যেই মুহূর্তটায় তোমার আর আমার বন্ধুত্বের শিরায় শিরায় গড়ে ওঠা অকৃত্রিম ভালোবাসা হঠাৎই ভেসে উঠেছিল তোমার আর আমার চেহারায়, আমাদের নীরবতায়, আমাদের মসৃণ স্পর্শে।

জানি না কেন যেন এই মন সেই মুহূর্তটা ফিরে পেতে যায়। সেই মুহূর্তটার পরে হয়ে যাওয়া সব ভুলগুলো ভুলে গিয়ে সেই মুহূর্তটাকে আবার উপহার পেতে চায় এই মন। অস্থির হয়ে প্রতি রাত নীরবে কাঁদে সে। দেখে সে কোনো এক শীতের রাতে প্রথম স্পর্শের সেই স্বর্গীয় মুহূর্তটুকু ফিরে আসার অবাস্তব স্বপ্ন।
শীতের পর্ব শুরু হয়ে গেছে। তবে শেষ রাতের ঠান্ডা অনুভূতি বেলা বাড়তে থাকলেই মিইয়ে আসে। আর এই না গরম না ঠান্ডার দিনে খাওয়া, পরা থেকে ঘুম, গোসল সবকিছুতেই বেশি ভোগে শিশুরা। শীতে এই কাবু তো একটু পরেই দৌড়-ঝাঁপে ঘেমেনেয়ে একাকার। টিফিনের প্রিয় খাবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নুডুলসটাও ঠান্ডা; ভালো খেতে চায় না। শীতের কড়া রোদে বাড়ি ফেরা-অবেলায় গোসল; সার্দি, জ্বরে কাবু। শত রকম সমস্যার সমাধানে থাকল বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ সচেতন মায়েদের জন্য শীতে শিশুর যত্নবিষয়ক হরেক রকম টিপস।

কী খাবে?
‘এ শুষ্ক ঋতুতে শরীর সুস্থ রাখার জন্য বেশি তরল খাওয়া জরুরি। শুধু পানি বারবার বাচ্চারা খেতে চায় না। দিতে পারেন মৌসুমি ফলের রস, দুধ ও স্যুপ। তবে বাজারে পাওয়া যায় এমন জুস ও কোমলপানীয় শিশুদের বেলায় একদম নিষেধ। বেশি খাবে মৌসুমি ফল, সবজি।’ বললেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের শিশুবর্ধন ও পারিবারিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক মওসউফা হক। মৌসুমি ফল, সবজি শিশুর রোগবালাই কমায়, পুষ্টির পাশাপাশি খাবারেও বৈচিত্র্য আনে। একেবারে ছোট শিশুদের (শূন্য থেকে এক বছর) কোনো খাবার দেওয়ার সময় খেয়াল রাখা দরকার সে কীভাবে তা নিচ্ছে। ছোট বাচ্চারা এক খাবার বারবার খেতে চায় না। তাদের খাবার তৈরির সময় এর গন্ধ, বর্ণ, স্বাদে বৈচিত্র্য আনুন। যারা স্কুলে নতুন যাচ্ছে, তাদের টিফিনে সহজপাচ্য এবং খেতে সুবিধা এমন খাবার দিন। ঘরে বানানো মিষ্টি, ফল, স্যান্ডউইচ, জুসসহ বাচ্চার মত নিয়েও তার পছন্দমতো খাবার দিতে পারেন। তবে তার উপকারিতাও জেনে নিতে হবে। ‘বাচ্চার খাবারটা টাটকা ও গরম হওয়া ভালো। ডায়রিয়া হলেও তাকে সব ধরনের স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। নয়তো শিশু দুর্বল হয়ে পড়বে।’ বললেন সিরাজদি খানের (মুন্সীগঞ্জ) শিশু স্বাস্থ্য ক্লিনিকের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এফসিপিএস প্রশিক্ষণার্থী ডা· প্রবীর কুমার সরকার।

কী পরবে?
দিনে যেহেতু অপেক্ষাকৃত কম শীত লাগে, তাই শিশুকে হাফহাতা কাপড় পরানোই ভালো। তবে বাইরের ঠান্ডা বাতাস যেন খুব একটা না লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে। ‘রাতে বাচ্চারা গায়ের কাঁথা ফেলে দেয়’-এ অভিযোগ অধিকাংশ মায়েরই। তাই বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েই এর সমাধানে সুতির হাতওয়ালা টি-শার্ট পরিয়ে রাখতে পারেন। তবে উল, ফ্ল্যানেলে ঘাম হয়। দীর্ঘ সময় এসব কাপড় না পরানোই ভালো। ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক সুতির মোটা কাপড়ই এ ঋতুর উপযোগী। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কাপড়ে ঘাম হয়। তা থেকেও শরীর খারাপ হতে পারে। শীতে ধুলাবালি বেশি থাকে। বাচ্চারা বাইরে বেরোনোর আগে যেন জুতা, মোজা পরে নেয়, সেদিকে নজর রাখুন। সঙ্গে রোদ থেকে বাঁচাতে টুপি, রোদচশমা চাই-ই।

ত্বকের যত্ন
শীত এলেই শরীরে সরিষার তেল মেখে রাখাটা কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর জানালেন ডা· প্রবীর। ‘তেল শরীরের জন্য উপকারী-এ বিষয়টি চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রমাণিত হয়নি। তেল যদি মাখতেই চান, তবে ভালো হবে জলপাই তেল, ভ্যাসলিন ও গ্লিসারিন।’ ‘সমপরিমাণ পানি ও গ্লিসারিনের মিশ্রণও শিশুর ত্বক ভালো রাখবে।’ বললেন মওসউফা হক।

মেয়েশিশুদের বড় চুলে তেল মাখতে চাইলে রাত নয়, দিনটাই ভালো। তবে রাতে তেল লাগানোটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে শিশুর ক্ষতি নাও হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভালো ব্র্যান্ডের বেবি লোশন বাচ্চার ত্বকের যত্নে বেছে নিন। গায়ে যেন ধুলো-ময়লা লেগে না থাকে এদিকে নজর দিন। শীতেও নিয়মিত গোসল করা উচিত। এক দিন পরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে বাচ্চাকে গোসল করিয়ে দিন। লক্ষ রাখুন কোন সময়ে গোসল করলে বাচ্চা স্বস্তি বোধ করে।

অসুখ হলে
না ঠান্ডা না গরমের দিনে কাশি, শ্বাস নিতে কষ্ট, নাক বন্ধ, ডায়রিয়া, জ্বর-এসব অসুখ হতেই পারে। ঘাবড়ে যাবেন না। প্রথম অবস্থাতেই প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। নবজাত শিশু প্রতি মিনিটে ৪০ থেকে ৬০ বার শ্বাস নেয়। পরীক্ষা করুন শ্বাস-প্রশ্বাস কম-বেশি কি না। অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস খাদ্য গ্রহণেও অনীহা সৃষ্টি করে। জ্নের ২৮ দিন পর্যন্ত কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দেবেন না। একটু বড় শিশুর ক্ষেত্রে গলাব্যথা, ঢোক গিলতে কষ্ট হলে কুসুম গরম পানি খাওয়ান। দিতে পারেন অল্প লিকারের লেবু বা আদা চা। ঠান্ডাজনিত কারণে ত্বকের যে অস্বস্তি তাও দূর হবে, খাবারে রুচি আসবে। পুরো শীতে নিয়ম করে খাওয়ান মধু ও তুলসীর মিশ্রণ। সঙ্গে এক চামচ গরম পানি মিশিয়ে নিলে ভালো হবে। ঘরে ধূমপান করলে বাচ্চার অসুখ বেড়ে যায়। তাই এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। শীতের রাত যেহেতু বড়, তাই ঘুমানোর আগে কিছু খাওয়াতে ভুলবেন না। শিশুরা নিজের ভালো-মন্দ বুঝতে পারে না। তাই পরিবারের সবাইকে তার ব্যাপারে নজর দিতে হবে।
কেন যাবে? থাক আজ সারারাত। অহিংস চাঁদের আলোয় দেব ডুবসাঁতার। কেন উড়াল দেবে? যাবে অন্য আকাশ। ডুবসাঁতারে জেন নেব রাতের অন্ধকার ছুঁয়ে জীবনের স্বাপি্নক অনুভূতি।
দেখ শীত সন্ধ্যা জড়িয়ে পড়েছে জোনাকি পোকার চাদরে। আকাশ থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে রুপালি চাঁদ। কেন যাবে, থাক আজ সারারাত।
আজ তাহলে উঠি; বিকেল পেরিয়ে যাচ্ছে উঠোন ছেড়ে। সন্ধ্যা নামছে শীতের কুয়াশা ভেজা শরীরে। অতঃপর আসবে রাত। এখানে আজ বোধহয় নামবে না রুপালি চাঁদ? তোমার দিঘিতে বুঝি আজকাল খেলা করে না রুই কাতলা পুঁটি মাছ! সাঁতার কাটে না ঝাঁকে ঝাঁকে পাতিহাঁস?
আজ তাহলে উঠি, কড়া রোদে শুকিয়ে গেছে তোমার বিছানা বালিশ। তুমি মনে হয় ভুলে গেছ শীতের গভীর রাতে খেতে হয় গরম পাতিলের দুধভাত!
শিশিরের শব্দের মতো দিন চলে যায়
নিঃশব্দে কালো রাত চলে আসে,
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলে
অন্ধকার কক্ষেই তাকিয়ে থাকি;
কোন অস্বস্তি কিংবা শীতলতা বোধ করি না।
হঠাৎ বিছানার পার্শ্বে হাত দিয়ে চমকে উঠি!
মনে হয় শুভ্র ভেজা বরফ বিছানো....
ঠিক তখনই অবচেতন মনের মাঝে হারিয়ে যাই,
মনে পড়ে, আমার কাঁধে অর্পিত দায়িত্বের কথা।
অথচ, আমি রঙিন কম্বলের আচ্ছাদনে আবিষ্ট
উষ্ণ পানির ছোঁয়ায় আমার গা ভিজে প্রতিদিন।
ঠিক আমার বিপরীতে কতো শীতার্ত খোলা আকাশের নীচে
কেবল ঠান্ডা কুয়াশার চাদর গায়ে নিয়ে শুয়ে আছে;
নেই তাদের কোন রঙিন কম্বল কিংবা
গায়ে উষ্ণ পানির ছোঁয়া!
কিন্তু আমার চারপাশে তো সবই বিদ্যমান....?
তবুও নিজের প্রতি কোন ক্রোধ কিংবা ঘৃণা জন্মায় না।
এমন সময় আমি আমার সচেতন মনের মাঝে ফিরে আসি,
ঠোঁটে মুচকি হাসি খেলে যায়।
মানবপ্রেমের দ্বার চোখের সামনে উন্মোচিত হয়....
এইতো, আর একটু পরেই অন্ধকার কেটে যাবে,
সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল চলে আসবে।
ঠিক তখনই শীতার্ত মানুষের সম্মুখে তাদেরকেই কেন্দ্র করে
উষ্ঠ ও জ্বিহ্বার সমন্বয়ে উচ্চারণ করব দরদমাখা কিছু কথা,
আর পৌঁছে যাব শীতার্তদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার স্রোতে।
তাদের কিছু হোক আর না-ই হোক, তাতে কী?
আমি তো ঠিকই নির্লজ্জভাবে উপলব্দি করছি
আমার কাঁধে দায়িত্ব নেই, দায়িত্ব নেই
আমি মুক্ত, মুক্ত এবং মুক্ত...। 

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৩

তুমি কেমন আছো? তোমাকে অনেক বেশি মনে পড়ছে আমার। তোমার সাথে কথা বলার সৌভাগ্য তো সৃষ্টিকর্তা কেড়ে নিয়েছেন, তাই এখানেই তোমার সঙ্গে কথা বলছি। জানি না তুমি কোনোদিন আমার কথা পড়বে কি না। উত্তর কখনোই দেবে না সে কথা জানি। কিন্তু তবুও যে তোমার সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে।

জানো নিদ্রাহীন রাতের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে তোমাকে নিয়ে ভাবার অনেক সময় পাওয়া যায়। মানুষ তার জীবনের একটা বড় সময় ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। না ঘুমালে আবার তার শরীরও খারাপ করে। তুমিই তো আমাকে কতো বকাবকি করেছো না ঘুমানোর কারণে। ভাবছো এখন তুমি নেই, বকাবকির কেউ নেই, তাই আরামে না ঘুমিয়ে থাকছি তাই না? না ঘুমিয়ে থাকছি ঠিকই কিন্তু তা যে কতোটা ইচ্ছে করে তা কেবল আমিই জানি। হয়তো তুমি বলবে, জীবনকে মেনে নিতে। হয়তো তুমি শুকনো কাঠের মতো খটখটে মন নিয়ে আমাকে উপদেশ দিবে তোমাকে ভুলে যেতে। কিন্তু আমার জীবনে যে তুমি একেবারে গেঁথে আছো, সেই কথা যে তুমি এতোদিনেও উপলব্ধি করোনি, তা কি আমি জানতাম বলো?

তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা মূহুর্ত আমার কাছে স্বপ্নীল সোনালী বলে মনে হয়। মূহুর্তগুলো তো আর ফিরে আসবে না, ফিরে আসে কেবল সেই মূহুর্তের অনুভূতিগুলো। একবুক বেদনার ফসল কতগুলো তুচ্ছ মূল্যহীন অশ্রু ঝরিয়ে যায় সেই অনুভূতিগুলো। কেন তুমি আমার হলে না? আমি ভুল করেছিলাম, সেটা কি এতোটাই বড় ভুল ছিল যে আমার জীবন থেকে তোমাকে সরে যেতে হবে?

লোকে বলে, যে চলে গেছে তাকে চলে যেতে দেয়া উচিৎ। আমার জন্য বিশেষ কেউ হলে নাকি সে নিজেই আসবে। আর যদি না আসে, তাহলে সে আমার জন্য না। কিন্তু আমি যে তা মানতে পারছি না। তুমি আমাকে ভালোবেসেছো, সেই ভালোবাসার গভীরতা উপলব্ধি করতে আমার এতটুকু ভুল হয়নি। হ্যাঁ, প্রতিদান দিতে হয়তো কিছুটা সমস্যা হয়েছে, কিন্তু কখনোই কি আমি তোমাকে তোমার ভালোবাসার মূল্যায়ন করতে পারিনি? কখনোই কি তোমাকে আমি মন থেকে ভালোবেসে তোমাকে একটা সুখী জীবনের স্বপ্ন দেখাতে পারিনি? একবারের জন্যও কি তোমার মনে হয়নি তুমি সত্যিই আমার সঙ্গে সুখী?

আমার বিশ্বাস হয় যে তোমার তা মনে হয়েছে। কারণ, তুমি আমাকে বলেছো। আর তুমি কখনো মিথ্যে বলোনি আমার সঙ্গে। আমি জানি তুমি সেই সুখ পেয়েছো। তারপর হঠাৎ ঘটে যাওয়া কিছু বেখেয়ালিপনার জন্য তুমি এভাবে চলে যাবে? তোমার কি একবার মনে হলো না যে আমি যখন একবার তোমাকে সুখী করতে পেরেছি, তাহলে বারবারও তোমাকে সুখী করতে পারতাম? আমার দুঃসময়ের কিছুটা প্রভাব তোমার উপর পড়লো বলে তুমি এভাবে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?

নিজেকে আমি যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশিবার করি, সেটা হলো তুমি কেন চলে গেলে। তুমি তোমার যুক্তি দেখিয়েছো। তুমি বলেছো আমাদের মাঝে ঝগড়া চলতেই থাকবে। তুমি বলেছো তুমি বিশ্বাস করতে পারোনি আমার কথা। কিন্তু তুমি আমাকে যতোটা ভালোবেসেছো, ততোটা ভালোবাসার সঙ্গে তো জীবনে একটা মাত্র বার তোমার বিশ্বাস অর্জন করতে না পারার যুক্তি মেলে না। আমিই তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি আমি তোমার বিশ্বাস ভেঙেছি কি না। তুমিই বলেছো আমি তোমার বিশ্বাস ভাঙিনি কখনো। তবে বলো কী এতো মন্দ ছিল আমাকে, আমার প্রতিশ্রুতিগুলোকে জীবনে একবার বিশ্বাস করতে?

প্রশ্ন করতে থাকলে প্রশ্ন আসবেই। আমি জানি তুমি যদি এই লেখা পড়তে বসো, তাহলে এতক্ষণে বিরক্ত হয়ে গেছ। তোমাকে আর বিরক্ত করবো না। তোমার সঙ্গে আমি আমার কল্পনায়ই এখন সব মনের কথা বলি। কেবল তোমাকে বিরক্ত করা কথা নয় কিন্ত, বরং আমার সব কথা তোমার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেই। মনের আঙ্গিনায় তোমাকে সেই নববর্ষের শাড়িটা পরিয়ে বসাই। তারপর তোমার সঙ্গে বলি রাজ্যের সব কথা। আর কল্পনায় দেখি তুমি গালে হাত দিয়ে বসে আমার সব কথা শুনছো আর মাঝে মাঝেই হেসে উঠছো। এক সময় আমিও কথা বাদ দিয়ে শুধু তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি। পৃথিবীতে আমার একমাত্র তুমিই আছো, যার দিকে তাকালে আমার মন শান্তিতে ঠিক ভরে উঠতো।

আজ তুমি আমার জীবনে নেই। কিন্তু আমার মনে-প্রাণে ভালোবাসায় আর প্রতিদিনের প্রতি মূহুর্তের প্রতিটা হৃদস্পন্দনে তুমি আজও আছো ছায়ার মতো। চোখ বন্ধ করলেই তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাই। যেন তুমি আছো আমার থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চির দূরত্ব।

বিধাতা কেন এই কয়েক ইঞ্চির দূরত্বকে এতো বড় এতো দীর্ঘ করে দিলেন, তা আমার আর কোনোদিনই জানা হবে না।